মোঃ মাসুদ সিকদার:
ফ্রি ফায়ার,পাবজি সহ ভয়ংকর গেম খেলে স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে। লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে, ছেলে মেয়েরা খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছে, দিন দিন বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে, বাবা মা এক কথায় সন্তানের কাছে অসহায়। গেম খেলে সন্তানরা আরো আরো যেভাবে বিপথগামী হচ্ছে যেমন:
পড়াশোনায় অনিহা: গেম হয়ে উঠছে ছেলেমেয়েদের নেশা এবং পেশা,অর্থ এবং সময় দুটোই নষ্ট করছে গেমের পিছনে, পড়াশোনা এদের কাছে মনে হচ্ছে একধরনের বোঝা ও মানসিক যন্ত্রণা, লেখাপড়া করতে বলা মানে বাবা মা ওর জীবনের বড় শত্রু এরকম টাই ওদের আচরণে মনে হয়।
কিশোর গ্যাং এর সম্পৃক্ততা: এধরনের গেমে শিক্ষনীয় কোন বিষয় নেই, শুধু মারামারি, খুনোখুনি ও অস্ত্রের ঝনঝনানি ছাড়া আর কিছুই শেখার নেই। এগুলো দেখেই তারা বিভিন্ন গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। যা পরবর্তীতে দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা, মারামারি এমন কি খুনোখুনিতে পর্যন্ত রুপ নেয়।
ধর্মহীনতায় উৎসাহ প্রদান: এই গেম গুলো বাচ্চাদের পর্যায়ক্রমে ধর্মহীনতায় উৎসাহ প্রদান করে থাকে। ধর্মের প্রতি তিক্ততা সৃষ্টি করে যার ফলে বাচ্চারা ধিরে ধিরে হিংস্র হয়ে ওঠে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, এবং আইটি প্রতি মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়তে ভবিষ্যত প্রজন্মেকে সঠিক পথে তৈরি করতে এধরনের ভয়ংকর গেম বন্ধ করা সময়ের দাবি বলে আমি মনে করি, অনুগ্রহ করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন এবং হাজারো অভিভাবকের বুকফাটা কান্না অনুভব করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।
Leave a Reply