ক্রাইম জনপদ ডেস্কঃ
বাকেরগঞ্জ পৌর মেয়র লোকমান ডাকুয়ার দুর্নীতির ফিরিস্তি!
১। ২০১৩-১৪-১৫ সালে পৌরসভার চাকুরী নিয়ে স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ বানিজ্য ৩,৫,৭,১০,১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রত্যেক নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ বানিজ্য। মেয়র লোকমান ডাকুয়ার ভাগ্নি, মামাতো ভাই, শালা বউ, পৌরসভার ক্লার্ক নুরুজ্জামান এর ছেলে অদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, কাউন্সিলরদের ভাই, ছেলে, বোন, শালা বউ, ভাগ্নি, ভাগনে এদের কাছ থেকেই মুলত টাকা খেয়ে তাদেরকে চাকুরীতে নিয়োগ দিয়েছেন পৌর মেয়র, যে পদে লোকের প্রয়োজন নেই অর্থের বিনিময় সেখানেও লোক নিয়োগ দিয়েছেন। এখন তাদের প্রত্যেকেরই বেতন বন্ধ অর্থাৎ মেয়র বেতন দিতে ব্যার্থ তাদের বোবা কান্না দেখার মতো কেউ নেই,মুলত নিয়োগ বানিজ্যের উদ্দেশ্যেই এদের নিয়োগ দেয়া।
২। বাকেরগঞ্জ থানা ব্রীজ হইতে বাসস্ট্যান্ড ব্রীজ পর্যন্ত খালের দুই পাশের সৌন্দর্যবর্ধন ও খনন কাজের জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা জাইকা প্রজেক্টের মাধ্যমে বরাদ্ধ আসে। সেই প্রজেক্টের কাজ শুরু করার অভিনয় করে জনগনের চোখে ধুলো দিয়ে টাকা পয়সা হজম করে ফেলেছেন।
৩। সংগীতা সিনেমা হল চৌরাস্তা সংলগ্ন জাইকা প্রজেক্টের আওতায় পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের একটি মার্কেট দ্বিতীয় তলা সম্পূর্ন করা হয়,সেখানে ৪০টি দোকানের প্রত্যেকটি দোকান বরাদ্ধকৃত মালিকের কাছ থেকে ৫০,০০০/= হাজার টাকা করে আলাদাভাবে মেয়র লোকমানের পকেটে চলে যায়।
৪।অন্যের ব্যক্তিগত জমি এবং সরকারি C&B রাস্তার জমির উপর অবৈধভাবে ও সম্পূর্ন খামখেয়ালি ভাবে জনগন ও প্রসাশনের চোখে আঙুল দিয়ে মার্কেট তৈরি করেন। এখনো তার প্রমাণ আছে সেখানে সিএন্ডবির কর্মকর্তারা তাদের জমি সিমানা নির্ধারণ করে মেয়র লোকমান কতৃক অবৈধভাবে দখলকৃত ১৫ ফুট জায়গা লাল চিহ্নিত করে রেখেছে এবং অবৈধ ঘোষণা করে এই মার্কেট ভাঙ্গার নোটিশ দেয়েছেন। এই অবৈধ মার্কেটের দোকান গুলো বরাদ্ধ দিয়ে মেয়র লোকমান কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,অথচ কাউকে দলিল দেননি,বরাদ্ধ নেয়া দোকানিরা আতঙ্কে দিন যাপন করছেন। প্রশ্ন থেকে যায় যেখানে পৌরসভার ভিতরে বাড়ি করতে গেলে ৩-৫ ফুট রাস্তা ছেড়ে বাড়ি করতে হয় সেখানে কিভাবে পৌরসভার মেয়র সরকারি রাস্তার উপরে মার্কেট করতে পারে।(চলমান)
Leave a Reply