ক্রাইম জনপদ ডেস্ক:
ক্যু পাল্টা ক্যু, রক্ত, ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতা দখলের সাক্ষী ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে এদিন রক্তপাতে মেতে ওঠে পাকিস্তানপন্থী কিছু ঘাতক। জিয়া ছিলেন এসব ঘটনার নাটের গুরু। ৭ নভেম্বরের ঘটনার মূল বেনিফিশিয়ারি হলেন জিয়া। কিছু ভুলের কারণে অখ্যাত জিয়া ক্ষমতার শীর্ষে চলে আসেন।
৭ নভেম্বর দেশ তার সূর্যসন্তানদের হারালেও জিয়ার ভাগ্য খুলে যায়। আর সুযোগ বুঝে জিয়া ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান। ৭ নভেম্বর জাতির কলঙ্কিত অধ্যায়, দিনটি বিএনপির জন্য লজ্জার-এমনটাই মনে করেন বিএনপি ছেড়ে আসা নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির এই সাবেক নেতা বলেন, বিএনপি মানুক আর নাই মানুক-৭ নভেম্বরের ঘটনায় তারা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে। ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহেরকে দিয়ে ক্যু ঘটিয়ে, মুক্তিযোদ্ধা সেনানায়কদের হত্যা করিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসার রাস্তা পরিষ্কার করেন জিয়া। জিয়ার ফাঁদে পা দিয়ে ভুল করে জাসদ, যার খেসারত দিতে হয়েছে জিয়ার শাসনামলেই।
শুনতে খারাপ লাগলেও এটি সত্য যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জিয়ার সাথে গোপনে যোগাযোগ রেখেছিল। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় পরিচালিত করতে তারা সুযোগের সন্ধানে ছিলো। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বরের পর আইএসআই চরম উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে ওঠে। কারণ ৭ নভেম্বর পাকিস্তানের এজেন্ট জিয়া ক্ষমতার বলয়ে চলে আসেন। সুযোগ পেয়েই জিয়া দেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন। গণতন্ত্রকে হত্যা করেন জিয়া।
Leave a Reply